মোঃ মুক্তার মাহমুদ (রাজশাহী) ।।
রাজশাহী মহানগরীর ৪নং ওয়ার্ড কোর্ট বুলনপুরের মোসা: চাঁদনী (৩০), পিতা মোঃ সুরুজ আলী, স্থায়ী ঠিকানাঃ মহিষবাথান ৫নং ওয়ার্ড। মহিষবাথান এলাকা হতে ফুসলিয়ে পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে যাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ৪ কিশোরী (স্কুল শিক্ষার্থী)-কে উদ্ধার করেছে রাজপাড়া থানা পুলিশ।
এসময় গ্রেফতার হয়েছে পাচারকারী এক নারী।
গ্রেফতারকৃত মোসা. চাঁদনী (৩০) রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার কোর্ট বুলনপুরে বসবাস করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৬ জুলাই সকালে ৪ কিশোরী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি হতে বের হয়। কিন্তু বিকেলে তারা বাড়ি ফিরে না আসলে তাদের অভিভাবকরা খোঁজ খবর শুরু করে। খোঁজ-খবরের একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ওই চার কিশোরীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে।
পরবর্তীতে চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায় সময় ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কিশোরীদের অভিভাবকদের ধারণা আসামি চাঁদনীসহ তার সহযোগীরা তাদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছে।
এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এসআই মো: সজীবুল ইসলাম ও তার টিম আসামিদের অবস্থান সনাক্ত করে গ্রেফতার ও পাচার হওয়া কিশোরীদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।
থানা পুলিশের ওই টিম শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত সোয়া ১ টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানার পূর্ব রাজাসন এলাকা হতে সাভার মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আসামি চাঁদনীকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে ৪ কিশোরীকে উদ্ধার করে ।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি যৌন কার্যকলাপের জন্য কিশোরীকে পাচারের কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
Leave a Reply