মোঃ মুক্তার হোসেন (রাজশাহী) ।।
রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পুকুর জবরদখলের অভিযোগ করায় ক্ষোভে ফুঁসছে দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট, ২০২২ ইং) সকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম একজন ভালো মানুষ। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া এবং ভিত্তিহীন ব্যক্তিগত জেরে জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যানের মান ক্ষুন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এবিষয়ে দুই বারের ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১০ বছর পূর্বে প্রচলিত দরে ১৩ মাসে এক বছর মেয়াদে ৭৬ বিঘা পুকুর লিজ নেই। যার মেয়াদ এখনো ৯ মাস রয়েছে। যার সকল প্রমাণাদি (মূল স্ট্যাম্প) আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। সকল কিছু প্রকাশ্য ৬৩ জন মালিকপক্ষ জেনে-বুঝে স্বাক্ষীর সম্মুখে চুক্তি স্বাক্ষর করে। কোনভাবেই এ চুক্তি জালিয়াতি করার সুযোগ নেই। বর্তমানে পুকুরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লোভের বশবর্তী হয়ে মালিকপক্ষ আমার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে নানা রকম চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি একজন সফল মৎস্য চাষী, এছাড়াও আমার একাধিক পুকুর রয়েছে। এমন জঘন্য কাজ মাত্র ৯ মাসের জন্য করব তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পুকুরে বর্তমানে আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি টাকার মাছ রয়েছে। এমন অবস্থায় তারা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমার উপর চাপ প্রয়োগ হুমকি-ধামকি দিচ্ছে আমার সম্মান হানি ও আর্থিক লোকসান করতেই এমন মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এমন অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট , ভিত্তিহীন ও মনগড়া এই অভিযোগকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মূল অভিযোগকারী মান্নান এবং আলমগীর এর সাথে কথা বলে জানা গেছে ১০ বছর আগে তারা লিজ দিয়েছে তাতে লিজ দাতারা স্বাক্ষর দিয়েছে কিন্তু লিজ দাতারা কেউ জানেনা ১৩ মাসে বছর।
অভিযোগকারী আব্দুল মান্নানের ছেলে ফোন দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, বিশ্বাস করে স্বাক্ষর দিয়েছিল তারা জানত না ১৩ মাসে এক বছর হবে। তিনি এমনটাও বলেন যদি ২০ বছর ও লিখে নিতো তাও কিছু করার ছিল না কারণ গ্রামের মানুষ এত বুঝে না।
পুকুরে মসজিদের জমি থাকায় মসজিদ কমিটির সভাপতি লোকমানের কাছে এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না এবং কারা অভিযোগ করেছে সেই বিষয়ে তার জানা নেই।
ওয়ারিশ সূত্রে পুকুরের ভাগীদার জমশেদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ একটা চক্রান্ত। সে সময় ১৩ মাসে বছর মর্মে তারা রিয়াজুলের কাছে পুকুর লিজ দেয়।
উক্ত বিষয়ে অন্যান্য অভিযোগকারীদেরকে ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply