আরিফুল ইসলাম (রাঙামাটি) ।।
রাঙামাটি বরকলে উপজেলা প্রোগ্রেসিভ সংস্থার উদ্যোগে নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে উপজেলা রেফারেল লিঙ্কেজের জন্য পরিষেবা প্রদানকারী বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে কনফারেন্স কক্ষে এ সভা আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা। রাঙামাটি জেলার প্রোগ্রেসিভ সংস্থার সুপ্তি দেওয়ান’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুচরিতা চাকমা।
প্রধান অতিথি বক্তব্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা প্রোগ্রেসিভ সংস্থার বাস্তবায়িত কার্যক্রম নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, নারী-পুরুষ সমতায় সবার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। নারী ক্ষমতায়ন করতে গেলে পঁচা গলা সমাজ বা ভোগবাদী ভেঙে নতুন সমাজ কাঠামো গড়ে তুলতে হবে কারণ পৃথিবীর মানুষরাই পুঁজিবাদি সমাজে বসবাস করছে। তাই এ সমাজ থেকে উত্তরণের জন্য সকলের সুচিন্তা করা দরকার বলে মনে করেন উপজেলা চেয়ারম্যান বিধান চাকমা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রোগ্রেসিভ সংস্থার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। নারী ক্ষমতায়নের জন্য প্রোগ্রেসিভ সংস্থাকে উপজেলা প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে বলেও আশ্বস্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা। প্রোগ্রেসিভ সংস্থার জেলা প্রতিনিধিরা বলেন, পার্বত্য রাঙামাটিতে তৃণমূল নারী-পুরুষদের সংগঠিত ও সচেতন করে তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট আইন, নীতি ও পদ্ধতিকে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়ক করে তুলতে প্রোগ্রেসিভ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রোগ্রেসিভ সংস্থা উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নারীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বায়নের লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলার বরকল, কাপ্তাই ও জুরাছড়ি তিন উপজেলায় নারী ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আওতাধীন কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়াও প্রথাগত নেতৃবৃন্দদের নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে ১৫ বিশিষ্ট কমিটি গঠন ও সভা করা, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে মেয়েদের দল গঠন, মাসিক সভাসহ তাদের জন্য বিভিন্ন সেশনের (নিরাপত্তা, নারীর প্রতি সহিংসতা, জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি) ব্যবস্থা করা এবং সেশন শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে কো-অর্ডিনেশন সভা করা। কিশোরী ও নারীদের নিয়ে কমিউনিটিতে ৩০ সদস্য দল গঠন, তাদের সাথে দ্বিমাসিক সভা, বিভিন্ন কারিগরি ও অন্যান্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, আইজিএ সাপোর্ট প্রদান। পাশাপাশি কিশোর ও তরুণীদের আত্মরক্ষার জন্য কারাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদি কার্যক্রম প্রোগ্রেসিভ সংস্থা পরিচালনা করছে বলে সভাতে উল্লেখ করা হয়।
এসময় বরকল থানা প্রতিনিধি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কামাল হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রিয় রতন চাকমা, রাঙামাটি জেলার প্রোগ্রেসিভ সংস্থার সমন্বয়ক সুব্রত খীসা, কো-অর্ডিনেটর সুবেদিতা চাকমা ও বরকল উপজেলার ফিল্ড অফিসার জোনাকি চাকমাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply