মেহেদী হাসান ।।
যশোরের নাভারণে শাহিন হোসেন নামে এক কাঁচামালের ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় তার কাছে থাকা নগত ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে শাহিন হোসেন বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশ্যে আসার পথে তার উপর এ হামলা হয়। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় শাহিনকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত শাহিন হোসেন ঝিকরগাছা উপজেলার ডাঙ্গি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের সেজো ছেলে এবং ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ইসমাইল হোসেনের ভাই।
সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন বলেন, গত সোমবার (৮ আগস্ট) খাজুরা গ্রামের সুমন হোসেনের স্ত্রী আন্না খাতুন তরকারি কিনতে আসে শাহিনের আড়তে। পরের দিন আন্না খাতুন একটি একশত টাকার ছেড়া নোট এনে শাহিনকে বলে এই টাকা তুমি দিয়েছো পাল্টিয়ে দাও। শাহিন এই ছেড়া টাকা তাকে দেয়নি বলে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। আজ সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাহিনকে হত্যা ও ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে আসে আন্না খাতুনের স্বামী সুমন, একই এলাকার লিয়াকত হোসেনের ছেলে সুজনসহ ৬-৭ জন সন্ত্রাসী। শাহিন হোসেন কাছে এলেই আচমকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে তারা। এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত করে শাহিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় তারা। এসময় শাহিনের কাছে থাকা আড়তের ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয়রা জানান, সুমন ও সুজনসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদক কেনাবেচাসহ প্রকাশ্যে তারা মাদক সেবন করে। পাশাপাশি চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তারা। শুধু তাই না, স্থানীয় ৯নং উলাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের পৌষ্য সন্ত্রাসীরা তারা। চেয়ারম্যানের মদদে এই সকল সন্ত্রাসীরা দিন দিন সুশীল সমাজের সাধারণ মানুষকে বেঁচে থাকা কঠিন করে দিচ্ছে। এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের ভয়ে কথা বলতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।
এবিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছে এবং পুলিশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।