1. khabarerferiwalabd@gmail.com : Forhad Hossain : Forhad Hossain
  2. borsha1308@gmail.com : Suraiya Sharmin Borsha : Suraiya Sharmin Borsha
শ্রেণীকক্ষে নেই শিক্ষার্থী, বেতন তুলছেন ২২ জন শিক্ষক-কর্মচারী - খবরের ফেরিওয়ালা
রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ভারতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস নিয়ে মুখ খুললেন তানজিন তিশা গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করায় উ.কোরিয়ার নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের নাটোরে পালন করা হলো বিশ্ব দুগ্ধ দিবস বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার হাসিনা ও এরদোয়ানের দেশের ৫২তম বাজেট আগামীকাল উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধে ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে পাবনা পল্লী বিদুৎ সমিতি বাংলাদেশ সংঘাতে নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী : প্রধানমন্ত্রী চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বিশ্ব মীনা দিবস’ উদযাপিত

শ্রেণীকক্ষে নেই শিক্ষার্থী, বেতন তুলছেন ২২ জন শিক্ষক-কর্মচারী

  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
  • ৬৩ বার পঠিত

খবরের ফেরিওয়ালা প্রতিবেদন ।।
রাজশাহীর দুর্গাপুর নান্দিগ্রাম ডি.এস আলিম মাদ্রাসা যেন ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। উপজেলার নান্দিগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক আছে শিক্ষার্থী নেই। এই মাদ্রাসায় ২২ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়মিত বেতন-ভাতা উঠালেও শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত পাঠদান করাতে দেখা যায়না কাউকেই। ফলে শ্রেণীকক্ষ গুলোতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দেখাতেই মনে হবে এ যেন ভূতের বাড়ি। পাঠদান বন্ধ, শিক্ষক-কর্মচারীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বছর বছর নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও অভিভাবক মহলের।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত (২৮ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাদ্রাসা খোলা থাকলেও শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শুন্যের কোঠায়। মাদ্রাসার অফিস কক্ষে দু’চারজন শিক্ষক ও কর্মচারীর দেখা মিললেও তারা চেয়ারে পা তুলে আরামে ঘুমিয়ে সময় পার করছেন। আর বেশিরভাগ শিক্ষক মাদ্রাসায় না এসে পারিবারিক কাজে সময় পার করেন। এছাড়াও মাঝে মধ্যে দু’একজন শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসলেও নিয়মিত পাঠদান না হওয়ায় মাদ্রাসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তারা। এনিয়ে অভিভাবকদের মাঝে বইছে চাপা ক্ষোভ। অভিভাবকরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন অভিভাবক বলেন, মাদ্রাসায় কোনও শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়মিত অফিস করেন না। মাদ্রাসাটিতে ইবতেদায়ীতে একজনও শিক্ষার্থী নাই। কিন্তু নামসর্বস্ব এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রতি মাসে নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করছে। বিষয়টি খুব দুঃখ জনক।
মাদ্রাসার সহকারী সুপার বলেন, আগে অনেক শিক্ষার্থী ছিল। ২০০৯ সালের পর শিক্ষকদের মাঝে ঝামেলা হওয়ায় আশপাশের এলাকার শিক্ষার্থীরা এখানে লেখাপড়া করতে আসছেনা। দূরের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি করে এখান থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়ে কোনোমতে প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রেখেছি।
এবিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুছা মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারিবারিক কাজে একটু রাজশাহী কোর্টে আছি। এ ব্যাপারে এখন কোনও মন্তব্য করতে পারবোনা। পরে আপনাদের সাথে কথা হবে বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মাদ্রাসার নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেলেও অধ্যক্ষ আমাকে সভাপতি হিসেবে মানেন না। তাই এ বিষয় নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা। তবে এলাকার লোক হিসেবে আমি যতদূর জানি ও শুনি, মাদ্রাসার অবস্থা ভালো নয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল হক জানান, মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রী নাই এ রকম কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। ছাত্র ছাত্রী কম এটা শুনেছি। শীঘ্রই মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করে তদন্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আগে কখনো পাইনি। যেহেতু অভিযোগ পেলাম সেহেতু শীঘ্রই মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর...

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ খবরের ফেরিওয়ালা
Theme Customized By Shakil IT Park