মেহেদী হাসান (যশোর) ।।
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ ব্রিকস নামে এক ইট ভাটা মালিকের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকে দাদনে ২০লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারনা করেছেন দক্ষিনাঞ্চলের ৫ মিল সরদার।
এ ঘটনায় ওই ভাটা মালিক বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলেও আসামিপক্ষ আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় কোনো সুরাহা হচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগী নাভারণ ব্রিকসের মালিক মো: আব্দুল হাই।
প্রতারণাকারী ৫ মিল সরদার হলেন, ১. সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত দীনবন্ধু সরকারের ছেলে দীপক কুমার সরকার, ২. শ্যামনগর থানার গোবিন্দপুর গ্রামের সাজ্জাত মন্ডলের ছেলে মো: মনিরুজ্জামান, ৩. একই গ্রামের বিভাষ চন্দ্রের ছেলে মহাসাগর কুমার, ৪. শ্যামনগর আঠুরিয়া গ্রামের আমিরুল তরফদারের ছেলে আজ বাহার এবং ৫. একই উপজেলার পূর্ব বেড়ালক্ষ গ্রামের ইনতাজ আলীর ছেলে মো: হফিজুর।
এর মধ্যে গত ১৫ অক্টোবর ২০১৮ ইং তারিখে দীপক কুমার সরকার ২লক্ষ টাকা, ১৫ জুন ২০১৯ ইং তারিখে মনিরুজ্জামান ৫লক্ষ টাকা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে ৫লক্ষ টাকা, ১৮ আগস্ট ২০২০ ইং তারিখে ৩লক্ষ টাকা এবং মো: হাফিজুর ৫লক্ষ টাকা সিজনে ইট প্রস্তুত করার জন্য দাদনে টাকা নিয়ে প্রতারণ করেছেন।
ইট ভাটার চুক্তিনামা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সিজনে নাভারণ ব্রিকসে শ্রমিক সরবরাহ করে ইট প্রস্তুত করবে বলে ১লক্ষ থেকে ৫লক্ষ টাকার বিভিন্ন অংকে চুক্তিবদ্ধ হয় এই ৫ অভিযুক্তরা।
এরপর থেকে ওই মিল সরদাররা শ্রমিক সরবরাহ না করে টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। অনেক যোগাযোগ করেও কোন সন্ধান না পেয়ে ভুক্তভোগী ইট ভাটা মালিক পক্ষ নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ আদালতে ৫ মিল সরদারের নামে মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামি পক্ষের কাছে বিজ্ঞ আদালত থেকে চিঠি দেওয়া হলেও আসামিরা কোর্টেও উপস্থিত হচ্ছেন না বলে জানা যায়। এ কারণে আসামিগণকে দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক উল্লেখিত টাকা ফেরত পেতে আদালতের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন ভাটা মালিক কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে নাভারণ ব্রিকস এর মালিক মো: আব্দুল হাই বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই আমি বিজ্ঞ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমার একটাই চাওয়া অতিদ্রুত আসামীরা আটক হোক এবং আমার ন্যায্য পাওনা টাকা যাতে ফেরত পেতে পারি বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply