বেনাপোল প্রতিনিধি ।।
যশোরের শার্শা উপজেলার ৮নং বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিক্রয়কালীন সময়ে গোলযোগকে কেন্দ্র করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক।
একই সঙ্গে প্রতিপক্ষের ইন্ধনে টিসিবি পণ্য বিক্রয়কালীন সময়ে পরিষদে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে এবং সে ঘটনা ভিন্ন খাতে নিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিলে একটি কুচক্রি মহল তার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে জানান।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে সকাল ৯টা হতে ইউনিয়নটির ১৮৪৬জন কার্ডধারী ভোক্তার কাছে এই পণ্য বিক্রয় করা শুরু হয়।
টিসিবি পন্য বিক্রয়কালীন সময়ে গোলযোগের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইস্যুকৃত কার্ডধারীদের আগে পণ্য প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে ডিলার পণ্য বিক্রয় করছিলেন। এসময় কয়েকটি কার্ডের ফটোকপি দেখিয়ে জোর পূর্বক পণ্য ক্রয় করতে চাইলে দায়িত্বরতদের বাধার মুখে পড়ে।
বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি ডিলারকে নিয়ম অনুযায়ী পণ্য বিক্রয় করতে বললে আমার দুই ইউপি সদস্য ফটোকপি সরবারহকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পরিষদ চত্ত্বরে হট্টোগোল শুরু করে। ডিলার তার পণ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ রাখে ও পরে পুলিশ আসলে পুনরায় বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেন।
টিসিবি পণ্য বিক্রয়কালীন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলম জানান, সকাল হতে রাত পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্ডধারীদের মাঝে ২ কেজি ডাল, ২ কেজি তেল ও ১ কেজি চিনি নির্ধারিত ৪০৫ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হয়।
দুপুর আনুমানিক ৩টার দিকে পণ্য ক্রয় নিয়ে গোলযোগ বাধলে ২ ঘন্টা সময় ধরে বিক্রয় কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে বাকী থাকা ৩২০ জন কার্ডধারীর নিকট পণ্য বিক্রয় করা হয়।
এবিষয়ে বাগআঁচড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, টিসিবি পন্য বিক্রয়কালীন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে সামন্য গোলযোগ বাধলে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছায়। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবেশ সুষ্ঠু হলে ডিলার পুনরায় বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করে।
সে সময়ে কোন বিক্ষোভ হয়েছে কি? প্রশ্নে তিনি বলেন পুলিশের উপস্থিতিতে এমন ধরনের কোন ঘটনা চোখে পড়েনি।
Leave a Reply