নিজস্ব প্রতিনিধি ।।
শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুলের পৌষ্য বাহিনী’র সন্ত্রাসী হামলায় মা মোছাঃ ফাহি খাতুন(২৭) ও তার দুই বছরের শিশু কণ্যা আছিয়া খাতুন গুরুতর আহত হয়ে এখন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঐ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাগডাঙ্গা দক্ষিনপাড়া গ্রামে।
আহত ফাহি খাতুন জানিয়েছেন, “গত (২৭ আগস্ট) শনিবার বিকাল ৫টার দিকে গত ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী পরাজিত চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল এর পৌষ্য বাহিনী ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মতিয়ার রহমান(৪৮) পিং-শামসুদ্দিন, মনিরুজ্জামান(৩৩) পিং-মোসলেম মোড়ল, চম্পা খাতুন(২৬) পিং-আব্দুর রশিদ এবং শাহানারা খাতুন(৪৫) আমার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে অতর্কিতভাবে আমার এবং আমার কোলে থাকা দুই বছরের শিশু কণ্যা আছিয়া খাতুনের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং লাঠিশোঠা নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাদের মারধরের আঘাতে আমার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হতে থাকে, সেই সাথে আমার শিশু সন্তান আছিয়ার মাথায়ও আঘাত লাগে। এতে করে আমরা দুজনই গুরতর আহত হই। আমাদের ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশীরা ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন এবং আমাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা হাসপাতালে ভর্তি করেন”।
কেন মা ও কণ্যা’র উপর এমন নির্যাতন চালানো হলো জানতে চাইলে ফাহি খাতুন আরও বলেন, পরাজিত সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমে প্রতিপক্ষ আব্দুল খালেকের নিকট পরাজিত হন। ঠিক এরপর থেকে তিনি প্রতিশোধ নিতে প্রতিনিয়তই ইউনিয়নাধীন প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় নিরীহ লোকজনের উপর তার পৌষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হামলা চালায়। তদ্রুপ আমরা (ফাহি খাতুন) বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেককে ভোট দেওয়ায় এবং তাকে সমর্থন করায় ক্ষীপ্ত হয়ে পরাজিত বকুল চেয়ারম্যান তার পৌষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
গত (২০ আগস্ট) আরও একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে ফাহি খাতুন বলেন, “ঐ দিন ঠিক বিকালে বকুল চেয়ারম্যানের আরও একটি পৌষ্য সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মতি বিশ্বাস(৪৫) পিং-রুস্তম বিশ্বাস, রাইমা খাতুন(৪০) স্বামী:- মতি বিশ্বাস, ডলি(৪০) স্বামী:-হযরত গাজি, সাথী(২৫) পিং- হযরত গাজি এবং সবুজ(২০) আমি সহ আমার বাড়ীর লোকজন মারাত্মক ভাবে আহত হই। এ ব্যাপারে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে থানা পুলিশ তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে সন্ত্রাসীদের ভয়ে থানা থেকে আমরা অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিই”।
আহত ফাহি খাতুনকে দেখতে এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে ৮নং বাগআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেক শার্শা হাসপাতালে আসলে সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফাহি খাতুন এবং তার পরিবারের সকলেই ইউপি নির্বাচনে আমার পক্ষ হয়ে আমাকে ভোট দিয়েছে। পরাজিত চেয়ারম্যান বকুল ক্ষীপ্ত হয়ে এইভাবে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে।
এব্যাপারে শার্শা থানা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সহযোগীতা পাচ্ছেন না বলে তিনি জানান।
Leave a Reply