মুক্তার মাহমুদ (রাজশাহী) ।।
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের নানাবিধ অপকর্ম তদন্তে কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কতিপয় নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।
◊ টাকা দিয়ে চাকরি না পেয়ে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সাবেক নেতার মামলা
তদন্ত কমটিতে সদস্য রাখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক শেখ শামীম তূর্য, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক আপন দাস ও সহ-সম্পাদক তানভীর আবদুল্লাহ। তাঁরা রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের তদারকির দায়িত্বেও আছেন।
ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে গত বুধবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলামের সঙ্গে এক নারীর কথোপকথনের রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই অডিওতে ‘আপত্তিকর’ বিষয় নিয়ে কথোপকথনের একাংশে সাকিবুলকে বলতে শোনা যায়, ‘শোনো, আমার চোখ চারদিকেই থাকে. এসব চিটারি করতে পারবা না। বহুত বড় চিটারি-বাটপারি কইরি আমি প্রেসিডেন্ট (জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি) হইছি…। সব চিটারের দলের সরদার আমি।’
এর পর গতকাল দুপুরে ছাত্রলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাকিবুল এক লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আদালতের বিচারক মো. লিটন হোসেন মামলা আমলে নিয়ে সমন জারি করেছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইমরান কলিম খান। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর আসামিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এক কলেজ ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠে। গত ২৫ জুলাই এক কলেজছাত্রকে চুরির অপবাদ দিয়ে রাতভর আটকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে।
সম্প্রতি, ফেনসিডিল পানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও জাকির বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে এগুলো ষড়যন্ত্র।
একই রকম ষড়যন্ত্রের দাবি করেছেন সভাপতি সাকিবুল ইসলামও। তিনি বলেছেন, অডিও ফাঁস কিংবা মামলা—এগুলো সবই ষড়যন্ত্র। ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতৃবৃন্দ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
Leave a Reply